এইচএমপি ভাইরাস
বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
১৩-০১-২০২৫ ০৮:২৬:২৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৩-০১-২০২৫ ০৮:২৮:০২ অপরাহ্ন
হিউম্যান মেটানিউমো (এইচএমপি) ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব অংশীজনকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম দেশের সব এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশনার বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি লেখেন, এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক বা উদ্বেগের কোনো তাৎক্ষণিক কারণ নেই। সচেতনতা বজায় রাখা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করলে এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব স্টেকহোল্ডারকে এইচএমপি ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
অংশীজনদের জন্য নির্দেশনা
প্রয়োজনে বিমানবন্দর প্রাঙ্গণে সমস্ত যাত্রী, কর্মী ও দর্শনার্থীদের ফেস মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উৎসাহিত করা। জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো এইচএমপিভির যেকোনো লক্ষণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে শাহজালালের স্বাস্থ্য বিভাগে রিপোর্ট করা।
বিমান সংস্থাগুলোর জন্য নির্দেশনা
ভ্রমণের উৎসস্থলে, বিশেষ করে সন্দেহভাজন দেশগুলো থেকে আগত ফ্লাইটগুলোর জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যদি কোনো যাত্রীর মধ্যে লক্ষণ দেখা দেয় অথবা ফ্লাইটে কোনো সন্দেহজনক রোগী থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে শাহজালালের স্বাস্থ্য ইউনিটকে অবহিত করা। কেবিন ক্রু ও যাত্রীরা নির্দেশিকা সম্পর্কে অবগত আছেন কিনা, তা নিশ্চিত করা।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য নির্দেশনা
সন্দেহজনক লক্ষণযুক্ত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা। এসব বিষয় নিশ্চিত করার জন্য স্টেকহোল্ডারদের সহায়তা ও তথ্য প্রদান করা।
চিঠিতে আরও লেখা হয়, রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি) পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এই ভাইরাস ফ্লুর মতো অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার মতো লক্ষণ সৃষ্টি করে, যা সাধারণত ২-৫ দিনের মধ্যে সেরে যায়। অতএব, আসুন আমরা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকি। সবাইকে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করার এবং নিরাপদ থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
এদিকে, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী দেশে শনাক্তের পর এ নিয়ে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইচএমপি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সি শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সি ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন: হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবতী মহিলা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, পৃথিবীর অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় বাংলাদেশে এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। যার জন্য সব যন্ত্র সেবাকেন্দ্র এবং পয়েন্টস অব এন্ট্রিসমূহে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করা এবং জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হলো।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স